আমার বহুদিনের লালিত সপ্ন আফাজউদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ’ । কালিয়াকৈর-এর মতো বাংলাদেশর একটি পশ্চাৎপদ গ্রামীণ জনপদে উন্নতমানের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার তীব্র আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে পেরে আমি গর্ব বোধ করছি । একটি সপ্ন কতগুলো ভাবনা আর কল্পনার বিমূর্ত রেখাচিত্র ছাড়া কিছুই নয় ।সুতরাং তাকে অদৃশ্য অবয়ব থেকে বাস্তবে দৃশ্যমান করতে হলে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা ও নিরলস পরিশ্রম । আমি আমার সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে সপ্ন বাস্তবায়নের পথে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে চলেছি । আমার সুযোগ্য সহচরদের মধ্যে রয়েছেন ক্যাডেট কলেজের প্রাজ্ঞন অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও বিজ্ঞ অনুষসদস্যবৃন্দ ।এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্টা হিসাবে সহযোগিতা করছেন দেশবরেণ্ণ শিক্ষাবিদগণ । তাঁদের গবেষণা প্রসূত দিকনির্দেশনার আলোকে কাজ করে আমরা ইতোমধ্যেই সাড়া জাগানো সফলতা অর্জন করতে সাক্ষম হয়েছি । এই বিশাল কর্মষজ্ঞ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমি কালিয়াকৈর-এর সর্বসাধারণের অকুণ্ঠ সমর্থন, সুপরামর্শ ও সহযোগিতা পেয়েছি । ভবিষ্যতে তাঁরা আমার পাশে থেকে যোগ্য সহচরের ভূমিকা পালন করবেন বলে আমার বিশ্বাস ।অভিভাকদেরকে আমি অভিবাদন জানাই যে, তাঁরা তাঁদের প্রাণপ্রিয় সন্তানদের এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে সুশিক্ষা নিশ্চিত করার সুযোগ করে দিয়েছেন । সুশিক্ষা এক আশ্চর্য পরশ পাথর । সুশিক্ষার উপহার পেতে হলে যে-মানের শিক্ষক প্রয়োজন, আমি তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর । এর পাশাপাশি শান্ত-স্নিগ্ধ, নির্মল ও নিরিবিলি পরিবেশ জ্ঞানচর্চার জন্য খুবই অপরিহার্য । আমরা উদার-মুক্ত প্রকৃতির মাঝে নান্দনিক পরিবেশে স্বপ্নিল এই শিক্ষাঙ্গনটি গড়ে তুলেছি ।এছাড়া আমার পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির সকল ক্ষেত্রে শতভাগ শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার তাগিদ রয়েছে । বাস্তবে হৃদয় আলোকিত করার মতো যে-শিক্ষা প্রয়োজন, আমরা তারই বাস্তবায়ন করতে সদা প্রস্তুত । নিছক সুনাম কুড়ানোর জন্য নয়, আমার বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত এ-বিদ্যাপিঠটি যেন যুগ যুগ ধরে জাতির আলোকিত সন্তান গড়তে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারে, এ-কামনাই করছি ।পরিশেষে আধুনিক শিক্ষার সকল উপায়-উপকরন সংবলিত এ বিদ্যাঙ্গনটি শিক্ষার্থী অভিভাবক এলাকাবাসী তথা দেশ-জাতির গর্বের বিষয় হয়ে অচিরেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে যাক, পরম করুণাময়ের দরবারে এই প্রার্থনা করছি ।আমাদের শতভাগ প্রচেষ্টা থাকলে আল্লাহুর রহমতে সোনালী-সপ্ন একদিন সত্যে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ ।